মেঘনায় তিনটি ঘর ও শ্মশান নদীগর্ভে বিলীন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনায় গর্ভে বিলীন তিনটি ঘর ও শ্মশান। গতকাল শুক্রবার দিনগত রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় সব। কোনো রকমে দৌড়ে বের হয়ে বাঁচে মানুষ। এখন ভাঙন আতঙ্কে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে, আজ শনিবার ভাঙন ও বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারমম্যান মো. হানিফ মুন্সি। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দিশেহারা আশুগঞ্জের মানুষ। উপজেলার চরসোনারামপুরের প্রায় ৬০০ পরিবার ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর মাঝখানে বসতি গড়ে ওঠা চর সোনারামপুরের নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ঘরের মালিক সুমতি রানি দাস বলেন, ‘আমি বিধবা। আমার ঘরটিও গতকাল রাতে পানির স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব; বুঝে উঠতে পারছি না।’
নদী ভাঙনের শিকার রাসু দাস বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দে আমার ঘর ভেঙে মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কোনো রকমে দৌড়ে বের হয়ে আমিসহ আমার পরিবার বাঁচি।’
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর আমি উপজেলা প্রশাসনের লোকজন নিয়ে পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’