মোংলায় বাল্কহেডের নিখোঁজ ৩ স্টাফের একজনের লাশ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
মোংলা বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর অ্যাঙ্করেজ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় থাকা বাল্কহেডের নিখোঁজ এক স্টাফের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কয়লাবোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় সর্বশেষ নিখোঁজ থাকা তিনজনের মধ্যে আরও একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর অ্যাঙ্করেজ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় থাকা এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসান বাবুল জানান, গত সোমবার রাতে হাড়বাড়িয়ার ৯ নম্বর অ্যাঙ্কর এলাকায় এ দুর্ঘটনাকালে বাল্কহেডটির দুজন স্টাফ জীবিত উদ্ধার হয়। তখন নিখোঁজ থাকেন মোট পাঁচজন। ওই পাঁচজনের মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় দুজনের লাশ উদ্ধার  করা হয়। তারপরও নিখোঁজ থাকেন তিনজন। ওই তিনজন নিখোঁজ থাকা অবস্থাতেই সংশ্লিষ্টরা আজ বুধবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন। তারপর থেকে নিখোঁজদের পরিবার লাশের সন্ধানে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় খুঁজতে থাকে। তারই এক পর্যায়ে আজ বেলা ১১টার দিকে হাড়বাড়িয়া ৯ নম্বর এলাকায় একটি লাশ ভাসতে দেখে তারা। এরপর তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। আজ উদ্ধার হওয়া লাশটি ওই বাল্কহেডের স্টাফ রবিউল ইসলামের (৩৫)। তার বাড়ি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী এলাকায় বলে জানা গেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি হলো স্টাফ নূর আলম (৩২) ও মহিউদ্দিনের (৩৫)। এই দুজনের বাড়িও স্বরূপকাঠীতে। তবে এখনও দুজন স্টাফ নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার জিহাদ ও মোংলার সামছু।

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৯ নম্বর অ্যাঙ্করে থাকা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে কয়লাবোঝাই করে ছেড়ে আসার পর সেলিং হওয়া অপর একটি বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাল্কহেডটি ডুবে যায়। বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় অবস্থানরত বিদেশি জাহাজ এমভি এলিনাবি থেকে প্রায় সাড়ে ৬০০ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই করে বাল্কহেড এমভি ফারদিন। বাল্কহেডটি কয়লা নিয়ে ঢাকার মিরপুরের গাবতলীতে যাওয়ার কথা ছিল।