মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের মতবিনিময়
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানিকারকসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বন্দরের সদস্য (অর্থ), সদস্য (প্র. ও উ.), পরিচালক (প্রশাসন), হারবার মাস্টার, প্রধান প্রকৌশলী (যা. ও ত.), প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, পরিচালকসহ (ট্রাফিক) ট্রাফিক বন্দরের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডেপুটি কাস্টমস কমিশনারের যুগ্ম-কমিশনার, ইপিজেডের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক), সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক মোংলা বন্দর শাখার ব্যবস্থাপক, বিএডিসির যুগ্মপরিচালক, বিসিআইসির ডেপুটি জেনালের ম্যানেজার, খাদ্য বিভাগের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খুলনা চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি, বাগেরহাট চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সহসভাপতি, ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, নোয়াপাড়া সার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়শনের সহসভাপতি, খুলনা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব, মোংলা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সহসাধারণ সম্পাদকসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সভাপতি মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দূরদর্শীতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার এ বন্দরের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রকল্প প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণ্যিজের দূরত্ব হ্রাসে পদ্মা সেতু নির্মাণ, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ, খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রভৃতি। এসব প্রকল্প মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরের প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে এনেছে। এ বন্দর কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব চলাকালীনও অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ জাহাজ আনায়ন ও কার্গো হ্যান্ডলিং করে বন্দরের রাজস্ব আয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’
মোহাম্মদ মুসা সরকার গৃহীত সি অব ডুয়িং বিজনেস (EASE OF DOING BUSINESS) পরিকল্পনার গুরুত্ব উল্লেখ করে সেটা বাস্তবায়নে সম্ভব্যকরণীয় সব বিষয়ের দিক নির্দেশনা দেন।
বন্দরের চেয়ারম্যান উপস্থিত আমদানি-রপ্তানিকারকসহ অন্য বন্দর ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন। একইসঙ্গে তিনি বন্দরের নাব্যতা সংকট দূরীকরণে গৃহীত ড্রেজিং প্রকল্প সম্পন্ন, বন্দরের মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন, নতুন জেটি নির্মাণের বিষয় উল্লেখ করেন।
বন্দর ব্যবহারকারীদের বিদ্যমান অসুবিধা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে থেকে বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দরে রূপান্তরে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান পরিচালক।