মোটরসাইকেল কিনতে ‘প্রেমিকাকে’ অপহরণ

Looks like you've blocked notifications!

একটি মোটরসাইকেল কেনার ইচ্ছা খন্দকার সাকিব সাদমানের। কিন্তু, টাকা জোগাড় হচ্ছিল না। এসব নিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করেন সাদমান। একপর্যায়ে বন্ধুদের প্ররোচনায় নিজের ‘প্রেমিকাকে’ অপহরণ করেন তিনি। অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। 

অপহরণের ঘটনাটি গত ২৭ মার্চ রাজধানীর মুগদা এলাকায় ঘটে। পরদিন মেয়েটির মামা বাদী হয়ে মুগদা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার দিনই ডিএমপির ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মুগদার কাঠেরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী সাদমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি জানিয়েছে, সাদমানের বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা ছিল না। কিন্তু, তাঁর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। সাদমান এ-লেভেল পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে তিনি পড়ালেখা থেকে ঝরে পড়েছেন। পরে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

ডিএমপির ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফ উল্লাহ বলেন, ‘সাদমান এবং তাঁর দুই বন্ধু মিলে মেয়েটিকে অপহরণের ফাঁদে ফেলেন। একটি মোটরসাইকেল কেনা এবং তিন বন্ধুর কিছু ধারের টাকা পরিশোধ করার জন্য তাঁরা মেয়েটিকে অপহরণ করেন। এরপর মেয়ের বাবাকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এরপর মেয়েটির বাবা থানায় মামলা করেন। তবে, সাদমানকে গ্রেপ্তার করা গেলেও এখনও দুই বন্ধু পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর সাদমানই এসব ঘটনা পুলিশকে জানায়।’

কীভাবে অপহরণ করা হলো, জানতে চাইলে আশরাফ উল্লাহ আরও বলেন, ‘মেয়েটিকে ফোন করে দেখা করতে বলেছিলেন সাদমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটি রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে বেরিয়ে সাদমানের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর সাদমান কৌশলে মেয়েটিকে রাজধানীর মুগদা কাঠেরপুল এলাকার একটি বাসায় নিয়ে জিম্মি করেন। পরে মেয়েটির মুঠোফোন নম্বর থেকে তাঁর বাবাকে কল দিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সাদমান।

এ সময় বলা হয়—টাকা দিলে মেয়েকে জীবিত ফেরত দেওয়া হবে, টাকা না দিয়ে পুলিশকে জানালে মেয়েকে মেরে ফেলা হবে।