মোদিবিরোধী বিক্ষোভে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান।
সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের ৫৩ সহযোদ্ধাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ করা নাগরিক অধিকার। কিন্তু এই বিনাভোটের স্বৈরাচারী সরকার ভিন্নমত ও দলের নেতাকর্মীদের দমন-নিপীড়ন করে যাচ্ছে।
ডাকসুর ভিপি বলেন, ‘অবৈধ সরকার গদি হারানোর ভয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে। আমার কোনো নেতাকর্মীর যদি অপরাধ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। আমরা ভয় পাওয়ার জন্য রাজপথে নামিনি। আমাদের জেল-জুলুম দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। বরং ৫৩ জন নেতাকর্মী আটক হওয়ায় সাধারণ মানুষের আরও ঢল এসেছে এই লড়াইয়ে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, অবিলম্বে সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে; অন্যথায় জনগণকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আবু হানিফ, আরিফুল ইসলাম আদীব, মোল্লা রহমতুল্লাহ, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান, অলক আহমেদ, সদস্য সচিব মঞ্জুর মোর্শেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব আরিফ হোসেন, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট তৌফিক শাহরিয়ার প্রমুখ।
এর আগে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহামুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব, আধ্যাপক আসিফ নজরুল, রেহনুমা আহমেদ, শহীদুল আলম, জোনায়েদ সাকীসহ ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে পরিষদের নেতাকর্মীরা।