মোহনগঞ্জে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি, উঁচুজমির ফসলহানির আশঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের চরহাইজদা স্থায়ী বাঁধ ভেঙে ডিঙ্গাপোতা হাওরে পানি ঢুকছে। ছবি : এনটিভি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের চরহাইজদা স্থায়ী বাঁধ ভেঙে ডিঙ্গাপোতা হাওরে ঢুকছে পানি। এতে উঁচুজমির ফসলহানির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এঘটনায় মৎস্যশিকারি ও ট্রলারচালকদের দুষছেন স্থানীয়রা। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় মদন আটপাড়া বারহাট্টাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের ৫ দশমিক ৩ কিলোমিটার একমাত্র স্থায়ী বাঁধ চরহাইজদা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে হাওরের ফসল রক্ষায় এ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। দুদফায় পানি বৃদ্ধি পেলেও বাঁধের ক্ষতি না হওয়ায় পানি কমতে থাকায়, এসময়ে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৎস্যশিকারি ও ট্রলারচালকদের বিরুদ্ধে। হাওরাঞ্চলে পানি ঢুকলেও ইতোমধ্যে নিচু জমিতে ৯৫ ভাগ কেটে ফেলায় পানি ঢুকে কম ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।

এদিকে খালিয়াজুরির পেটনা বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার দুদিন যেতে না যেতেই আবার বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঘটলো জেলার মোহনগঞ্জের চরহাইজদা স্থায়ীবাঁধে এ ঘটনা।

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের ধান ইতোমধ্যে ৯৫ ভাগ কেটে ফেলা হলেও এখনো উঁচুজমিতে কয়েক হাজার হেক্টর জমির আধাপাকা ধান রয়েছে মাঠে। ফসল রক্ষায় বাঁধগুলো মেরামতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়েও দুশ্চিন্তা কাটেনি হাওরবাসীর।

বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় কৃষকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাঁধটি ভেঙে ফেলায় মদন আটপাড়া বারহাট্টাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবাদের ৩৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। জেলার হাওর এলাকায় ৯৫ ভাগ ধান কাটা প্রায় শেষ। তাই ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের ডিঙ্গাপোতা হাওরের ফসল রক্ষায় স্থায়ী বেরিবাঁধ চরহাইজদার একটি অংশে ভাঙনের ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এই বাঁধের আওতায় বেশ কয়েকটি ফিশারি রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করায় তাতে পানি ঢুকছে না। এটাও বাঁধ ভাঙার কারণ হতে পারে। তবে পুলিশি তদন্তে বিষয়টি জানা যাবে ।

এবিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আকুঞ্জি জানান, বিগত এক মাস আগে যখন অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল, তখন বাঁধের কোনোরকম ক্ষতি হয়নি। এখন পানি অনেক কমেছে। হাওর এলাকায় ধান কাটাও প্রায় শেষ। এভাবে পাকা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। কেউ জড়িত থাকলে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।