মৎস্য প্রকল্পে বিষ ও পোলট্রি ফার্মে অগ্নিসংযোগে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি

Looks like you've blocked notifications!
পাবনার সুজানগরে সংঘর্ষের জেরে একটি মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করায় মরে যাওয়া মাছ ধরে নিচ্ছে এলাকাবাসী (ইনসেটে মরা মাছ)। ছবি : এনটিভি

পাবনার সুজানগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের জের ধরে একটি মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার পর পরই কয়েকটি বাড়ি ও পোলট্রি খামারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

সোমবার দিনগত রাতের কোনো এক সময় উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে ওই মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করা হয়। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রকল্পের মালিক উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের স্ত্রী হালিমা খাতুন জানান।

সুজানগর থানার ডিউটি অফিসার সানোয়ার হোসেন জানান, জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যারাতে  চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের প্রভাবশালী মোকাই শেখের গোষ্ঠী ও আক্কাছ আলী বিশ্বাসের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় হয়। সংঘর্ষে মোকাই শেখের গোষ্ঠীর লোক মোয়াজ্জেম হোসেন শেখের ছেলে এরশাদ আলী শেখ (৩২) আক্কাছ আলী বিশ্বাসের গোষ্ঠীর লোক উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের ছেলে হালিম বিশ্বাসের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় সুজানগর থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার এজাহার নামীয় আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, আজম আলী বিশ্বাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিশ্বাস গোষ্ঠীর বেশিরভাগ লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর এ সুযোগে মোকাই শেখের গোষ্ঠীর লোকজন ওই মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করে ক্ষতি সাধন করে। এর আগে ওই খুনের জের ধরে আজম আলী বিশ্বাসের একটি পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম, একটি গবাদি পশুর ফার্ম ও আক্কাছ আলী বিশ্বাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে একটি বাছুর গরু, সহস্রাধিক পোলট্রি মুরগি ও বাচ্চা এবং আক্কাছ আলী বিশ্বাসের একটি টিনের ঘরসহ বেশ কয়েক মণ পাট পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি খামার। ছবি : এনটিভি

পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজম আলী বিশ্বাসসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে একটি লাইসেন্স করা দোনলা বন্দুক ও ৪৯টি কার্তুজ জব্দ করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য প্রকল্প পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।