ময়মনসিংহে কৃষক খুনের জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, আটক ২

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষক খুনের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতার অগ্নিসংযোগে জ্বলছে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটি পোতা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষ চন্দন গ্রুপের হামলা ও মারধরে আহত কৃষক সাজ্জাদুল হক (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর প্রতিবাদে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা হামলাকারিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পাঁচলাশি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় রুমন ও কাউসার নামে দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও নয় জন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আতাউর রহমান, এনামুল হক, জুলেখা খাতুন, শফিকুল ইসলাম, স্বপন, লাল মিয়া মেম্বার, মার্শাদুল, কালাম ও জাহেদুল। আতাউর রহমান নিহত সাজ্জাদুলের ছেলে আর বাকিরা তাদের স্বজন।

নিহত সাজ্জাদুলের বাড়ি রামগোপালপুর ইউনিয়নের পাঁচলাশি গ্রামে।

গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, আজ সকাল ১১টায় বিদ্যুতের খুঁটি পোতার জন্য পিডিবি থেকে লোকজন আসে। খুঁটি কোথায় পোতা হবে এ নিয়ে চন্দন গ্রুপের সঙ্গে সাজ্জাদুলের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রামদা ও লাঠি নিয়ে সাজ্জাদুল ও তার ছেলে আতাউরের ওপর হামলা করে চন্দন গ্রুপের রায়হান, ইসলাম, বাবুল, উজ্জ্বল, সুজন, আর্শেদ আলী, চান মিয়া, শাওন, মেরাজ, রুমন ও কাউসার। এতে সাজ্জাদুল গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা চন্দন গ্রুপের কমপক্ষে ২০টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা পর গৌরীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই পুলিশ স্থানীয় জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।