ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!

ময়মনসিংহে রফিজ উদ্দিন হত্যা মামলায় শামসুদ্দিন (৫৫) নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদীপ্তা সরকার। আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ দণ্ডাদেশ দেন বিচারক। তাঁকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি চরপাড়া গ্রামে পানি খাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে খুন হন রফিজ উদ্দিন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শামসুদ্দিনের বাড়িও একই এলাকায়।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক ঝুটন চন্দ্র বর্মণ মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৫ সালে ১০ মে দুপুরে তারাটি চরপাড়া গ্রামের রফিজ উদ্দিন বাঁশের চাটাই বুনছিলেন। কাজের ফাঁকে গুড়ের খোরমা খেয়ে পানির জন্য শামসুদ্দিনের বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে পানি পান করেন। কেন রফিজ উদ্দিন রান্নাঘরে ঢুকে পানি পান করলেন—এ নিয়ে শামসুদ্দিন বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে সামসুদ্দিন শাবল দিয়ে রফিজ উদ্দিনের বুকে-পিঠে আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা শামসুদ্দিনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় রফিজ উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ মুক্তাগাছা থানায় শামসুদ্দিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় শামসুদ্দিনের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন সশ্রম কাদাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

আদালতে সরকার পক্ষে আইনজীবী সঞ্জিব সরকার এবং আসামি পক্ষে আব্দুল গফুর মামলাটি পরিচালনা করেন।