যতই বিদেশে দৌড়ান, লাভ হবে না : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : বিএনপির মিডিয়া সেল

বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মাতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিদেশে দৌড়ঝাপ করে কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই সরকারের সময় শেষ—এটাই বাস্তবতা।

আজ শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওপর থেকে নেমে আসুন। এই গণভবন থেকে বের হন, পাইক-পেয়াদা, এসএসএফ, সোয়াত এগুলো বাদ দিয়ে এই মানুষের সামনে এসে দাঁড়ান। দেখুন তারা কী বলে। মানুষের চোখের ভাষা বুঝুন। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষ আর বাঁচতে পারছে না।’

সরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন অন্যায়ভাবে অন্যায় কোনো কিছু করবেন না, যা আমাদের বিরুদ্ধে যাওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, এই সরকার দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে। এখন দেশের মানুষ যখন চায়, গণতান্ত্রিক বিশ্ব চায় এখানে একটা সুষ্ঠু, সঠিক, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক এবং সেটা তারা জানেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সম্ভব হবে না। তাই বলতে চাই, আপনারা দয়া করে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না, সেখানে আপনারাও চিহ্নিত হয়ে যাবেন।’

জনসমাবেশে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন, আর কিছু কষ্ট করতে হবে। এই সরকারকে টেনে না নামালে এরা যাবে না। সেজন্য আমাদেরকে সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, ব্যক্তি-সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করে ঝড়ের মতো…জনতার উত্তাল তরঙ্গে পরাজিত করতে হবে। আজকের এই সমাবেশ শুধু সভা নয়, এই সভা আপনাদের শপথ নেওয়ার সভা।’

'এই সরকারের সময় শেষ। এটাই বাস্তবতা' উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, 'এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যতই জাপান, যুক্তরাজ্য,আমেরিকা, আর সৌদি আরব, কাতার, চীনে যান না কেন, কোনো লাভ হবে না।'

ফখরুল বলেন, ‘আজকে একটু আগে শুনলাম, খুলনায় আমাদের সমাবেশে গুলি হয়েছে। গুলি করে আমাদের জনগণের এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই—আমরা সংঘাত চাই না, আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিয়মাতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। আমরাও মনে করি, নির্বাচনই এর একমাত্র উপায়। সেই নির্বাচন কখনোই আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচন দেখেছি… ২০১৪ সালে দেখেছি….। তাদেরকে আর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে এবার নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না।’

মহানগর ‍উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মীর নেওয়াজ আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, পারভেজ রেজা কানন, রফিক শিকদার, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ বক্তব্য দেন।