যেকোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি : আইজিপি

Looks like you've blocked notifications!
পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে বক্তব্য রাখছেন। ছবি : এনটিভি

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে শান্তিতে বসবাস করে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদেরকে যেকোনো সহযোগিতা করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।’

আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বৌদ্ধ বিহারে পৌঁছালে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি একটি কেক কেটে সবার সঙ্গে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

আইজিপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এ নীতির আলোকে আমরা দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে একসাথে দায়িত্ব পালন করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছি।’

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ আগে যে অবস্থানে ছিল তার চেয়ে বর্তমান অবস্থা ভালো হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করার ফলেই এ সফলতা এসেছে।’

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততম সময়ে পুলিশকে জানানোর জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনারা নিকটস্থ পুলিশ ইউনিট অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করুন, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।’

আইজিপি বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

এর আগে শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, গৌতম বুদ্ধ আজ থেকে প্রায় ২৬০০ বছর পূর্বে এই ধরাধামে এসেছিলেন। এ পৃথিবী থেকে দুঃখ-কষ্ট-জরা-ব্যথা দূর করার জন্য, আমাদের মাঝে বিভেদ দূর করার জন্য, আন্তঃধর্মীয় বিভেদ দূর করার জন্য, সমস্ত বর্ণের লোককে একত্র করার জন্য মহাবাণী  নিয়ে এসেছিলেন তিনি। আমি মনে করি বর্তমান পৃথিবীতে যে হানাহানি, রক্তক্ষয় ও হিংসা-বিদ্বেষ তা দূর করতে হলে গৌতম বুদ্ধের অমর বাণী ও  আদর্শ বড় প্রয়োজন।’