যে তিন কারণে ভয়ংকর রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’
প্রবল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের সাতটি বিভাগে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ ঘূর্ণিঝড়টি তিনটি কারণে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য মূল কারণ।
আজ সোমবার আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি কারণে ঘূর্ণিঝড়টি বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। প্রথমত, সিত্রাংয়ের অগ্রবর্তী অংশের আচরণ দেখে ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য প্রবল প্রভাবের বিষয়টি আঁচ করা যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির মূল শরীর এখনো দূরে আছে। যখন মূল শরীর সামনের দিকে আসবে, তখন পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার সময় অমাবস্যা থাকবে। অমাবস্যার সময় চন্দ্র ও সূর্য একই দিক থেকে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। যার কারণে পৃথিবীর বুকে যে জলভাগ আছে, তার ওপর অতিরিক্ত আকর্ষণ তৈরি হয়। এতে জলভাগ উত্তাল হয়ে পড়ে।
তৃতীয়ত, এবার বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ কারণে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে একধরনের চাপ সৃষ্টি হয়, যা জলভাগের ওপর চাপ তৈরি করে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন বাংলাদেশ উপকূলমুখী। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সোমবার সকাল আটটা নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ থেকে আট ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।