রংপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীর মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা ক্যাম্পাসে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার। ছবি : এনটিভি

রংপুরে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রুহি (১৯) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার বাউন্ডারির মধ্যে এ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারটি অবস্থিত। রুহি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড থানার মেয়ে। পুলিশ বলছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুহি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রুহির সঙ্গে রংপুর নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডের বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকার আকাশ নামে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের মার্চে মেয়েটি ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে রংপুরে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গত শনিবার আবারও মেয়েটি আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। একপর্যায়ে আকাশের মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় গতকাল রোববার রাতের কোনো এক সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

আজ দুপুর ১২টায় হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রুহির মরদেহ সেখানে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে রুহির স্বজনদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। রংপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, রুহি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। ‌‌তারা এলে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।