রংপুর সি‌টির ভোট ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারিতে : ইসি

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচন ক‌মিশনার মো. আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

চল‌তি বছ‌রের ডি‌সেম্ব‌রের শেষ সপ্তা‌হে অথবা আগামী বছ‌রের জানুয়া‌রির শুরু‌তে রংপুর সি‌টি কর‌পো‌রেশন (রসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন নির্বাচন ক‌মিশনার মো. আলমগীর। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁও‌য়ের নির্বাচন কমিশন ভব‌নের নিজ দপ্ত‌রে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তি‌নি।

মো. আলমগীর বলেন, ‘রংপুর সিটি নির্বাচ‌নের বিষ‌য়ে এখনও কো‌নো সিদ্ধান্ত হয়‌নি। ত‌বে, আগামী ডি‌সেম্ব‌রের শেষ অথবা জানুয়া‌রির শুরুর দি‌কে নির্বাচন হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সময় শেষ করে নির্বাচন করতে চাই না। একটু আগেই করতে চাই।’

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘ইভিএম বা সিসি ক্যামেরার বিষয়ে কমিশন সভায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। তবে, সব সিটিতে ইভিএম, সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘অবশ্যই আপত্তিকে গুরুত্ব দিই। তবে, কোনটা সুবিধা সেটা আমলে নিই। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় যে নির্বাচন আগামীতে হবে, সেখানে ইভিএম ও সিসি ক্যমেরা ব্যবহার করব।’

মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘আমাদের রোডম্যাপে আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আছে। সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম ধরতে সহজ হবে। কারণ, ভোটকেন্দ্রের বাইরের অনিয়ম সবাই দেখে। কিন্তু, ভেতরেরটা সবাই দেখে না।’

ইভিএম বা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার না করার অনুরোধ রাখবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘যদি আমাদের কারিগরি সামর্থ হয় তবে, কারও কথা শোনার কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত আমাদের।’

মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তার জন্য বাসা বাড়িতে, মার্কেটে, রাস্তায় আছে। এটার কারণ হলো, অপারাধ কে করল তা সহজে ধরা যায়। সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা সতর্ক থাকে। অন্যদিকে, সবারই সক্ষমতা সীমিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কমিশনের সক্ষমতা অসীম নয়। সিসি ক্যামেরায় থাকলে সবার জন্যই সহজ হয়।’