রমনার বটমূলে ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে মানা ডিএমপির

Looks like you've blocked notifications!
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজ বৃহস্পতিবার রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : ডিএমপি

আগামীকাল বাংলা নববর্ষ ১৪৩০। দিনটি বরণ করতে সারা দেশে নানা আয়োজন উদযাপিত হবে।  রাজধানীতে থাকবে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের রাজকীয় আয়োজন। বর্ষবরণের দিনে রমনার বটমূলে হবে অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিকেল ৪টার মধ্যে রমনায় সব অনুষ্ঠান শেষ করে স্থান ত্যাগ করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন উচ্চ শব্দ করে এমন বাদ্য ব্যবহার করে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না। এ ধরনের শব্দ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকা মহানগর পুলিশ রমনা বটমূলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। আমাদের সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আন্তর্জাতিক মানের। যদি কোথাও বোমা পাওয়া যায়, তাহলে সিটিটিসির রোবোটিকস সিস্টেম ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করা যাবে। পরবর্তী সময়ে রোবটের মাধ্যমে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা যাবে। এরমধ্যে যদি কোনো দুষ্কৃতিকারী ঢুকে যায়, তাহলে সোয়াত টিম সেই মহড়া দিয়েছে। তাদের সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে।’

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘এবারের পহেলা বৈশাখ যেন ঢাকাবাসীসহ সব বাঙালি উৎসবমুখরভাবে পালন করতে পারে সেজন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, রবীন্দ্রসরোবর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক প্রায় দুই হাজার ৭০০ পুলিশ কাজ করছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রমনায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রমনাকেন্দ্রিক মোট ৯টি গেট থাকবে। এরমধ্যে চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। বাকি পাঁচটি গেট দিয়ে প্রবেশ-বাহির হওয়া যাবে। প্রত্যকটি গেটে পুলিশ, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রত্যকেককে সার্চ করে রমনায় প্রবেশ করানো হবে।’

খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘ব্যাগ নিয়ে কেউ রমনা পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যকের চেক-ইন করা হবে। তাই বাড়তি কোনো কিছু নিয়ে রমনায় আসবেন না। রমনায় লোক সমাগম বেশি হলে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রমনা পার্ক সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ৪টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করে রমনা ত্যাগ করতে হবে। ৪টার পর আর কাউকে রমনায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দশ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছি। পলাতক জঙ্গিরা নজরদারিতে রয়েছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনো জঙ্গি থ্রেট বা হুমকি নেই৷’ তিনি বলেন, ‘এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কোনো ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।’