রাজধানীর কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা নিতে উপচেপড়া ভিড়
গণটিকাদানের দ্বিতীয় দিনেও আজ রোববার রাজধানীর কেন্দ্রগুলোতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তবে, পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় অনেককে ফিরে যেতে হয়েছে। এজন্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানান কেউ কেউ।
নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারঘোষিত গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে রাজধানীতে। আজ রোববার সকাল থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও টিকা নিতে ভোর থেকেই ২৫ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষেরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
কথা ছিল সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দেওয়া হবে টিকা। কিন্তু, বেলা ১১টা বাজতেই শেষ হয়ে যায় টিকা। করোনার গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বেশির ভাগ অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের চিত্রই ছিল এমন। কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও টিকা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অনেকে।
আজ রোববার রাজধানীর খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, এলাকায় সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল ৬টা থেকেই মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে টিকা নিতে পারেননি। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
খিলগাঁও টিকার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আফরোজা বেগম বলেন, আমি গতকালও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দিতে পারিনি। আজ সকাল পৌনে ৭টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। লাইন এগোচ্ছে না। জানি না আজও টিকা দিতে পারব কি না।
কিছুদিন আগেও টিকা দিতে এত মানুষের আগ্রহ দেখা যায়নি। কিন্তু, বর্তমানে চারপাশে করোনার ভয়ানক পরিস্থিতি দেখে টিকা নিতে এসেছেন বলে জানান অনেকে।
যত মানুষ টিকা নিতে এসেছিলেন কম-বেশি তার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ টিকা দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
সারা দেশে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে সকাল ৯টা থেকে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন কর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।