রাজশাহীতে এক টাকায় মিলছে এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা

Looks like you've blocked notifications!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও থেকে নেওয়া ডা. সুমাইয়া ও ইউএনবির প্রতিবেদন থেকে নেওয়া পোস্টারের ছবি

রাজশাহীতে এক টাকায় মিলছে এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা। নগরীর সাহেব বাজারে এক টাকা ভিজিটে রোগী দেখছেন এক চিকিৎসক।

ডা. সুমাইয়ার বাড়ি রাজশাহীর সাহেব বাজারে। তিনি নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান সরকারি কলেজের প্রভাষক মীর মোজাম্মেল আলীর মেয়ে।

সুমাইয়া ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ডা. সুমাইয়ার এই মহান উদ্যোগ নেন বলে জানিয়েছেন।

সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্ন শেষ করে প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে চাকরির পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আর এর পাশাপাশি করছেন জনসেবা।

৮ জানুয়ারি থেকে এক  টাকায় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন এই চিকিৎসা। প্রচারের জন্য পোস্টার ছাপিয়ে বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে। 

ডা. সুমাইয়া পোস্টারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দন জানানো হয় তাকে।

সুমাইয়ার পোস্টারে লেখা, ‘মাত্র এক টাকা ভিজিটে রোগী দেখা হয়। রোগী দেখবেন ডা. সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল (এম.বি.বিএস)। রোগী দেখার সময় শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সেই পোস্টারে রয়েছে মুঠোফোন নম্বরও।’

বিষয়টি সবাইকে জানাতে পোস্টারের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন সুমাইয়া। এতে বলা হয় ‘আব্বুর জনসেবার ছোট্ট একটা ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা।’ এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

চিকিৎসা নিতে আসা দিসা রানি জানান, লোকমুখে শুনে গিয়েছিলাম চিকিৎসা নিতে। তিনি অনেক ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সবাই প্রশংসা করছে। এতে করে গরীব মানুষের অনেক উপকার হবে। তিনি আমার কাছে সব কথা শুনলেন। কথাবার্তা ভালো বলেছেন। ভিজিটের এক টাকা একটি মাটির ব্যাংকে রাখতে বললেন।

ডা. সুমাইয়া বলেন, ‘বাবার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি। বাবার ইচ্ছে ফ্রিতে যেনো চিকিৎসা সেবা দিই। বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিতে অনেক রোগীরা ইতস্তত বোধ করবেন তাই এই এক টাকার ভিজিট। আমার অন্য দুই বোন এখন গর্ভবতী। সন্তান প্রসবের পর তারাও এ চেম্বারে বসবেন।’ আমার মতো অন্য দুই বোনও এক টাকায় সেবা দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুমাইয়ার বাবা মীর মোজাম্মেল আলী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি, কিন্তু তিন মেয়ে চিকিৎসক হয়েছে। এখন আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিন মেয়ে এক টাকা ভিজিটে রোগী দেখতে রাজি হয়েছে। ইতোমধ্যে এক মেয়ে শুরুও করেছে।’