রাজাকারের বংশধররা এখনও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায় : পরিকল্পনামন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
জামালপুরে ‘টেকসই গ্রিন হাউজ প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নত কৃষি উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে করোনা অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমন’ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি : এনটিভি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমাদের লাখ লাখ সন্তান যারা আজকের প্রজন্ম, তারা আমাদের বীর সৈনিক। কিন্তু অনেক কুলাঙ্গার স্বাধীনতার শত্রু রাজাকারের বংশধররা এখনও প্রতিশোধ মেটাতে চায়, তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়।’

আজ শুক্রবার বিকেলে ‘টেকসই গ্রিন হাউজ প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নত কৃষি উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে করোনা অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমন’ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের গরিব ও গ্রামের মানুষের যে উন্নয়ন হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করলে সেটা আর হবে না, লাভ হবে ওই শত্রুদের।’

জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিএসপিবি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।

ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি নাই, আমি এখানে কথা বলতে পারি না। আমরা বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর না, খন্দকার মোশতাক বা খুনি জিয়াউর রহমান না, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাড়া আমরা আর কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হব না।’ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বক্তব্য দিতে চাই না, ব্যানারে ছবি না থাকা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই শোকের মাসে সরকারি একটি দপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠান চলছে, অথচ এই অনুষ্ঠানের ব্যানারে জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই। এটা অনিচ্ছাকৃত কোনো ভুল নয়, যারা বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে না, এ ধরনের কাজ তাদের দ্বারাই সম্ভব। আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রায় দুই বছর ধরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রকল্প চলছে, অথচ জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেই এই প্রকল্প বিষয়ে জানি না। এই প্রকল্পের কাজ কতটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে সেই বিষয়েও খোঁজ নিতে হবে।’