রাজু ভাস্কর্যের সামনে শূন্যে ভাসছেন নওগাঁর ইরা
পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যালে নাচে আধুনিকতার ছোঁয়া এনে নেট দুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল তিনি। নাচের শৈলী ছড়ানো কয়েকটি ছবিতেই হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফ্রেমবন্দি ওই ছবিতে ভাসছিলেন শূন্যে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ছবির এই মডেল নওগাঁর মুবাশশীরা কামাল ইরা। এবার উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী।
পড়াশুনার ফাঁকে মায়ের উৎসাহে নাচ শেখেন ইরা। বাবা আবু হায়াত মোহাম্মদ কামাল ব্যবসায়ী। মেয়ের নাচ শেখার প্রতি আগ্রহ দেখাননি তিনি। তবে আজ তিনিও খুশি। সমস্ত কৃতিত্ব দিলেন তাঁর স্ত্রীকে। বললেন, ‘ইরার ব্যালে নাচের শিক্ষক ইউটিউব আর অনুপ্রেরণা তার মা। আমার ইচ্ছা, সে পড়াশোনার মাঝে ব্যালে নাচ দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে আরও উচ্চাসনে নিয়ে যাক।’
ইরারও ইচ্ছে তেমনই। এর আগে নাচের সুবাদে গিয়েছেন তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে। সব জায়গায় কুড়িয়েছেন সুনাম। জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর ভবিষ্যতে তাঁর নাচের পরিকল্পনার কথা এনটিভি অনলাইনকে জানালেন তিনি। বললেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলায় ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে আছে।’ নাচের ওপর পিএইচডি করে দেশে নাচের ভুবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চান।
বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইরা। নাচের পাশাপাশি জিম, স্কেটিং, টেনিস ও ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানালেন নেটিজেনদের হৃদয় ছুঁয়ে নেওয়ার গল্প। বললেন, ‘তিন মাস আগে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে ব্যালে নাচের ফটোস্যুট করি। সেই ছবির কয়েকটি ফেসবুকে আপলোড করার পর শূন্যে ভেসে থাকা ছবির কারিগর জয়িতা আফরিনের নজর কাড়ে। তাঁর আমন্ত্রণে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে হয় ফটোস্যুট। দুদিন পর জয়িতা নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেন সেই সব ছবি। এরপর নেটিজেনদের ভালোবাসা ছুঁয়ে নেয় আমাকে।’
ইরা তাঁর নাচের গুরু সুলতান মাহমুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে নাচকে নিয়ে যেতে চাই।’
ইরার মা ফাহমিদা কামাল বলেন, ‘প্রথম দিকে ওর বাবা রাজি হতেন না। ওকে সাহস দিতাম। পরে ওর বাবাও উৎসাহ দিতে শুরু করেন।’