রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির রিভিউ শুনানি ২৪ নভেম্বর

Looks like you've blocked notifications!
হাইকোর্টের ফাইল ছবি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় আসামিদের রিভিউ শুনানির জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ। দুই আসামি হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

উভয়পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল ও মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী।

মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মৃতদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন। আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাবি অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় সহকর্মী মিয়া মো. মহিউদ্দিন ও বাসায় কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করে আপিল। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি স্বাক্ষরিত ৬৮ পাতার রায়টি প্রকাশ হয়। এস তাহের জীবিত থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না এমন আশঙ্কা থেকেই এ খুন করেন শিক্ষক মহিউদ্দিন, রায়ে এমন পর্যবেক্ষন দেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে এস তাহের হত্যা মামলায় মহিউদ্দিনসহ দুই আসামির ফাঁসির কার্যক্রম ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত।