রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে সোমবার সকালের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ১০ জন করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যান। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান আরও দুজন।
হাসপাতালের পরিসংখ্যান বলছে, করোনা শনাক্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে চারজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে, তিনজনের বাড়ি রাজশাহী, দুজনের বাড়ি নওগাঁ এবং একজনের বাড়ি মেহেরপুরে। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
গত ১ জুন থেকে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত দুই সপ্তাহে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ১৩৬ জন। এর মধ্যে ৮০ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
করোনা ইউনিটে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন আর নারী পাঁচজন। পুরুষদের মধ্যে ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সি মারা গেছেন দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন দুজন। মৃত নারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন এবং ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন একজন নারী।
রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আজ সোমবার সকালে রোগী ভর্তি ছিলেন ৩০৭ জন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৫৭ জন। আর করোনা সন্দেহে চিকিৎসা চলছে ১০০ জনের। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯ জন।
আজ সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ, নাটোরের এক, নওগাঁর দু’জন এবং কুষ্টিয়ার একজন। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী।
এদিকে, করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে গত শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী নগরীতে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। স্থানীয় প্রশাসন আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউনের কারণে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহণ চলছে না। রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে গেছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরে কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন না মানায় রোববার ২৯ জনের কাছ থেকে ৪৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।