রাষ্ট্রদূতেরাও বলছেন নারায়ণগঞ্জে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতেরাও মতামত দিয়েছেন—এমন দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে আজ সোমবার সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। আজ ভারতের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। উভয় দেশের মধ্যে যে নিবিড় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে, সে সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। উভয় দেশই স্ব স্ব দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভারত সরকার আমাদের উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে চায়। আর্থিকভাবে তারা অবদান রাখতে চায়। বিশেষ করে, কিচেন মার্কেট তারা করতে চায়, সেখানে তারা একটা বড় প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা করেছে। যখন তারা এ বিষয়ে আমাদের জানাবে, তখন আমরা উদ্যোগ নেব। আমাদের গ্রামে, পৌরসভা বা উপজেলায় যে সকল জায়গা রয়েছে, সেখানে সবজি, মাছসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আমরা জেলায় করছি কিছু। এখন তারা তাদের পক্ষ থেকে করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।’

সে বাজারে নিত্যপণ্য তারা আনবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের নিত্যপণ্য আনবে না, আমাদেরটাও তারা নেবে না। সেখানে শুধু অভ্যন্তরীণভাবে স্থানীয় জনগণের উৎপাদিত পণ্যই তৈরি ও ক্রয়-বিক্রয় হবে। বর্তমানে সে ক্রয়-বিক্রয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে হয়, সেটাকে একটা কাঠামোর ভেতরে সুন্দরভাবে হয় সেজন্য তারা কিচেন মার্কেট তৈরি করে দেবে। এই মার্কেট খুব একটা ব্যয়বহুল না, সেটা আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি। আমরা নিজেদের উদ্যোগে করছিও। তারা যখন বন্ধুত্বের নির্দশনস্বরূপ কিছু অবদান রাখতে চায়। সেখানে আমার মনে হয় না কোনো দোষের কিছু হবে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভালো সম্পর্ক আছে। এ সম্পর্কের কারণে প্রতিদিনই আমাদের কাছে কিছু বিদেশি সংস্থা ও উন্নয়নসহযোগীরা আসে। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু, আমাদের দেশের জন্য যেটা কল্যাণকর ও উপকারী, সেগুলো আমরা গ্রহণ করি।’