রাষ্ট্রীয়ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে : মির্জা আব্বাস

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি : এনটিভি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দেশে রাষ্ট্র এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। এভাবে বাধা দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে, কখনোই কোনো দল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। 

কিশোরগঞ্জে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। গত শনিবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে পুলিশের গুলিতে নিহতের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শতাধিক নেতাকর্মী আহত এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

পাকুন্দিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, পাকুন্দিয়ায় সংঘটিত ঘটনা একটি অভাবনীয় নারকীয় ঘটনা। সরকারি দলের মাস্তান ও পুলিশের আতঙ্কে বর্তমানে পাকুন্দিয়ায় কিছু কসাই ছাড়া কোনো লোক নেই। বিএনপি নেতাকর্মীরা এতটাই আতঙ্কিত যে, বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। 

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে যে গুলি দিয়ে শাওনকে হত্যা করা হয়েছে, তা চাইনিজ রাইফেলের গুলি। চাইনিজ রাইফেল একটি যুদ্ধাস্ত্র, এটা সাধারণ পুলিশের ব্যবহার করার কথা নয়। এসব অস্ত্র যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে নয়। 

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা অনেক কর্মসূচি পালনের পরও সরকারের টনক নড়েনি। সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সরকার দাম বাড়িয়েই চলেছে। 

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের মেয়াদ বেশিদিন নেই। এই সরকার বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম সরকারের উদ্দেশে বলেন, লাশ অনেক ফেলেছেন। দরকার হলে আমরাও লাশ হব। কিন্তু এবার আর পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আমরা হতে দেব না। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকায় ফেরার পথে মির্জা আব্বাস, আব্দুস সালামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পাকুন্দিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেন।