রিট খারিজ, জাবির শিক্ষক নিয়োগে বাধা নেই
অনলাইনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবদেন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই আদেশের ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। জাবির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা দুটি রিটই সরাসরি খারিজ হয়েছে। এখন নিয়োগ সম্পন্ন করতে কোনো বাধা থাকছে না।
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগে ছয়জন প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ওই ছয় পদের বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৫৭ জন প্রার্থী। গত ১২ জুন অনলাইনে তাদের মৌখিক পরীক্ষাও হয়েছে।
দর্শন বিভাগের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে গত ১০ জুন হাইকোর্টে রিট করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, জাকির হোসেন ও সহকারী অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে উকিল নোটিস দেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। দর্শন বিভাগেরই আটজন শিক্ষকের পক্ষে নোটিসটি পাঠানো হয়। তার আগে গত ৯ জুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধে ইউজিসির চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন ওই আট শিক্ষক।
গত ১০ জুন অনলাইনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগে সার্কুলারের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
১৫ জুন অনলাইনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আজকের দিন ২০ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্য থেকে দুজন অনলাইনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহে আরেকটি রিট আবেদন করেন। পরে দুটি রিটের শুনানি একত্রিত করে আজ আদেশের জন্য রাখেন হাইকোর্ট। দুই আবেদনই খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।