রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইলেকট্রিক্যাল ও মেশিনারি পণ্য নিয়ে রাশিয়া থেকে আসা বিদেশি জাহাজ ‘এম ভি আনকা সান’ ও ‘এম ভি সাপোডিলা’ নামে দুটি জাহাজ মোংলাবন্দরে ভিড়েছে। আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে আনকা সান এবং সন্ধ্যা ৭টায় ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে সাপোডিলা।

মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইলেকট্রিক্যাল মালামাল নিয়ে ভেনুটা পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আনকা সান আজ বিকেল পৌনে ৫টায় মোংলাবন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। এক হাজার ৯৭৯ প্যাকেজের এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর রাশিয়ার নভরস্কি বন্দর থেকে ছেড়ে আসে এ জাহাজটি। এ ছাড়া রাশিয়ার সেন্ট পিটারসবার্গ বন্দর থেকে ৪৩৬ প্যাকেজের ৫১৮ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে এম ভি সাপোডিলা। 

বিদেশি জাহাজ আনকা সানের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং লাইন্সের খুলনার ম্যানেজার (অপারেশন শিপিং) সাধন কুমার চক্রবর্তী ও সাপোডিলার স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইন্টারপোর্টের খুলনার ম্যানেজার অসিম মণ্ডল জানান, বন্দর জেটিতে অবস্থান নেওয়া এ জাহাজ দুটি থেকে আজ সন্ধ্যার পর অর্থাৎ রাত থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে। এরপর জাহাজের এ পণ্য খালাস করে জেটিতে রাখা হবে। তারপর আগামীকাল সোমবার ও মঙ্গলবার থেকে তা সড়ক পথে নেওয়া হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। 

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল বিদেশি জাহাজ এম ভি কামিল্লা। অবশ্য এ জাহাজগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাতটি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রূপপুরের মালামাল পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার পরিপ্রেক্ষিতে রূপপুরের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে মোংলাবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এম ভি উসরা মেজরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তখন। ওই জাহাজটি ২৪ ডিসেম্বর মোংলাবন্দরে ভেড়ার শিডিউল ছিল। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তা আর সম্ভব হয়নি। পরে অবশ্য ওই জাহাজটি পণ্য খালাসে ভারতে গেলে সেখানেও পণ্য খালাস করতে না পারায় ফেরত যায়। যা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, বাংলাদেশ, ভারতসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।