রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ফাইল ছবি

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। আজ শনিবার (২০ মে) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প তাদের মিয়ানমার সমাজে পুনরায় একীভূত করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে নিজ দেশে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

নিরাপত্তা পরিষদকে রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত আরও জানান, গত ৫ তারিখে ২০ রোহিঙ্গার একটি দল মিয়ানমারের রাখাইনে যায় এবং সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা পরিদর্শন করে।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘এর আওতায় রোহিঙ্গাদেরকে পারিবারিক ইউনিটে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর আবার যেন তারা সেখানে  নিপীড়নের সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ থাকতে হবে।’ 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি থাকা দরকার। এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানায়।’

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।