লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যা : আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ৮টার দিকে নিজ কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মামলার ১৫ নম্বর আসামি রাকিব হাসান ওরফে শ্যুটার রাকিব (৩২) ও অজ্ঞাতনামা তালিকায় মো. লিটন প্রকাশ চান মিয়া (৪৩)। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে একটি রিভলভার ও একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাকিব দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামের ও লিটন বশিকপুরের বাসিন্দা।
এ নিয়ে নোমান-রাকিব হত্যা মামলার ১৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে এজাহারনামীয় ১০ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসপি মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, নোমান-রাকিব হত্যা মামলায় র্যাব ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি) পুলিশকে সহযোগিতা করে আসছে। সিটিটিসি ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে শ্যুটার রাকিবসহ লিটনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার ভোররাতে বশিকপুরে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। বশিকপুরেরে খালের কচুরিপানার নিচ থেকে দেশি লোহার তৈরি একটি পুরোনো রিভলভার ও একটি দেশি পাইপগান উদ্ধার করা হয়। দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে রাকিব-লিটনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
গত ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায়। পরদিন রাতে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
ইতোমধ্যে এ মামলায় ৩ নম্বর আসামি ফয়সাল দেওয়ান এবং ১৮ নম্বর আসামি কদু আলমগীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।