মুজিববর্ষ উপলক্ষে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুরে সাড়ে তিন লাখ স্কুলশিক্ষার্থীকে হেলথ কার্ড বিতরণ করা হবে। আজ সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসাইন আকন্দ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জেলার রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম চরসীতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ৩০৪ শিক্ষার্থীর হাতে এ হেলথ কার্ড তুলে দেন।  শিক্ষার্থীদের শারীরিক সমস্যাগুলো এ কার্ডে উল্লেখ থাকায় তাদের সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত সহজ হবে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসনাত খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফফার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূর এ আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহের নিগার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীম প্রমুখ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা যাচাই করা হবে। তাদের পুষ্টি ও শারীরিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য কার্ডে লিপিবদ্ধ করা হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা কার্ডের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। এ ব্যাপারে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিম গঠন করে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে খুদে ডাক্তার তৈরি হবে। প্রাথমিকভাবে তারাই সহপাঠীদের উচ্চতা, দৃষ্টিশক্তি ও ওজন মেপে তা হেলথ কার্ডে লিপিবদ্ধ করবে। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চতা, ওজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিগত অবস্থা, শারীরিক সমস্যা, দৃষ্টি পরীক্ষা, রক্তশূন্যতা, পালস, হার্টবিটসহ সামগ্রিক বিষয় উল্লেখ থাকবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে জেলার সাড়ে তিন লাখ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাতে এ স্কুল হেলথ কার্ড তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ভালো রাখতে স্কুলে খুদে ডাক্তার ও কৃমিনাশক প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন আকন্দ বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও শুরু করেছি। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বেড়ে ওঠায় এ সেবা ভূমিকা রাখবে।’