লক্ষ্মীপুরে ৩ সহোদরের বিরুদ্ধে শিক্ষক মারধরের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শিক্ষক রুপক। ছবি : এনটিভি

লক্ষ্মীপুরে তিন সহোদরের বিরুদ্ধে শিক্ষক মীর তানবিন শাহরিয়ার রুপককে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়েই নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুনরায় হামলার উদ্দেশে লোকজন নিয়ে শিক্ষক রুপকের বাড়ি ঘেরাও করলে স্থানীয়রা এসে জড়ো হয়। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহত শিক্ষক রুপককে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি শরীফপুর গ্রামের মীর বাড়ির ব্যবসায়ী মীর আনোয়ারুল আজিমের ছেলে এবং স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক।

অভিযুক্ত তিন সহোদর হলেন নুরে আলম বাবু, রাকিব হোসেন ও আরিফ হোসেন। এই তিন ভাইয়ের বাড়িও শরীফপুর গ্রামে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ব্যবসায়ী নুরনবীর বাড়ির পাশে মীর বাড়ির কয়েক ব্যক্তির জমি রয়েছে। ওই জমিতে নুরনবীর বাড়ির ওপর দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কখনো বাধা দেওয়া হয়নি। আজ সকালে রুপক ওই বাড়ির ওপর দিয়ে তাঁদের জমি দেখতে যান। এ সময় নুরনবীর ছেলে রাকিব, বাবু ও আরিফ তাঁকে কিল-ঘুষি মারেন। পরে তিনি চলে আসেন। দুপুরে বাড়ি থেকে তিনি (রুপক) জুমার নামাজ পড়তে বের হন। মসজিদে যাওয়ার পথে পেছন থেকে বাবু, রাকিব ও আরিফ ফের তার ওপর হামলা করেন। 

এ সময় রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ওই তিন ভাই তাঁর ফোনসেট ছিনিয়ে নিয়ে যান। নামাজ শেষে ফের হামলার উদ্দেশে তারা রুপকদের বাড়ির সামনে লোকজন নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী এসে জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নুরনবী ও তার ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর থেকেই তাঁরা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। 

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, ‘আহত ব্যক্তির (রুপক) পিঠ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। তাঁকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’