শতভাগ যাত্রী পরিবহণের প্রস্তাব মালিকদের

Looks like you've blocked notifications!
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতভাগ সিটিং সার্ভিস হিসেবে বাস চালাতে চান মালিকরা। ছবি : ফোকাস বাংলা

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন রোধে নতুন বিধিনিষেধ আরোপকালীন বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী পরিবহণের প্রস্তাব দিয়েছেন পরিবহণ মালিক নেতারা। 

আজ বুধবার দুপুরে বিআরটিএ ভবনে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকের পর বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, বৈঠকে পরিবহণ মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রস্তাব করেছেন, বিধিনিষেধ চলাকালে বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী পরিবহণ না করা হলে মালিকদের লোকসান গুনতে হবে। ৫০% যাত্রী পরিবহণ করা হলে রাজধানীতে পরিবহণ সংকট চরম আকার ধারণ করবে ও যাত্রীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ অবস্থায় বাস ও বাস টার্মিনালে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এখন যেভাবে বাস ও মিনিবাসে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে সেভাবে শতভাগ যাত্রী পরিবহণ করা উচিত।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার আরও বলেন, পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের এ প্রস্তাব সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এখন বাস ভাড়া বাড়ানো যৌক্তিক হবে না। কারণ গত নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাসে যাত্রী পরিবহণের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তারা সবশেষে একমত হয়েছেন যে ভাড়া বাড়ানো হলে যাত্রীদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করা হবে এবং এটি এ মুহূর্তে বাড়ানো যৌক্তিক হবে না।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। গত সোমবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বিধিনিষেধ জারি করে।

বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, জনসাধারণকে অবশ্যই বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ ও আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে এবং ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

এ ছাড়া দোকানপাট, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে তাকে আইনানুগ শান্তির সম্মুখীন হতে হবে। অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

১২ বছরের ঊর্ধ্বের সব ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না