শরীয়তপুরে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ আটক ৭

Looks like you've blocked notifications!
শরীয়তপুর জেলা পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে পালং সদর থানার ছবিটি নেওয়া হয়েছে

শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় গ্ৰামের বাড়ি বেড়াতে এসে এক নারী পোশাক শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান ঢালীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আজ শনিবার (৬ মে) পালং সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে মামলার সমস্ত আসামিদের আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জেলার সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে বাড়ির আঙিনায় বান্ধবীসহ মোবাইলে ভিডিও দেখছিল ওই নারী। এ সময় সহযোগীদের সহায়তায় স্থানীয় জুয়েল ফরাজী ও সুমন বয়াতী ওই দুজনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে, অভিযুক্ত জুয়েল ফরাজীর বোনের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ করে জুয়েল ও সুমন। এ সময় অন্য সহযোগীরা নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে।

পরবর্তীতে দুই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান ঢালীর সহায়তায় পালিয়ে যায় জুয়েল ও তার সহযোগীরা। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করা হলে পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে এক ইপি সদস্যসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ভিকটিম শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’