শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ২৮ সেমি উপরে, লোকালয়ে ঢুকছে পানি

Looks like you've blocked notifications!
পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণ ইয়ার্ড ডুবে গেছে। ছবি : এনটিভি

শরীয়তপুরের পদ্মার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুরেশ্বর পয়েন্টে পাদ্মার পানি ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে নড়িয়ার ঈশ্বরকাঠি, শেহের আলী মাদবরকান্দি ও চেরাগ আলী ব্যাপারী কান্দি এলাকায় নদীর তীর উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ওই তিনটি স্থানে নড়িয়া-জাজিরা পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানে কর্মরত তিন শতাধিক শ্রমিককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পানি বৃদ্ধির কারণে ভাঙন ঠেকাতে পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদীর ১০০ স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলছে নড়িয়ায়। এক হাজার ৪১৭ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য সিসি ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে নদীর তীরবর্তী ১০টি স্থানে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঈশ্বরকাঠি, শেহের আলী মাদবরকান্দি ও চেরাগ আলী ব্যাপারী কান্দি এলাকায় সিসি ব্লক নির্মাণের তিনটি ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। সাত দিন আগে ওই ইয়ার্ড তিনটি বন্ধ করে শ্রমিকদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট পদ্মা নদীর পানি নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে প্রথম বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর থেকে প্রতিদিনই পদ্মার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নড়িয়ার কিছু নিচু এলাকায় তীর উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

এদিকে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে স্রোত বেড়ে গেছে। স্রোতের কারণে জাজিরায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ও কীর্তিনাশার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। তবে এখনো লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি। নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের তিনটি ইয়ার্ড পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখান থেকে ৩০০-এর মতো শ্রমিক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পানি নেমে গেলে ইয়ার্ড তিনটি চালু করা হবে।

এ ছাড়া ভাঙন রোধে জাজিরার ৩৭টি স্থানে, নড়িয়ার ১২টি স্থানে, ভেদরগঞ্জের ২২টি স্থানে, গোসাইরহাটের ১৪টি স্থানে ও সদর উপজেলার কীর্তিনাশা নদীর ১৫টি স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।