শরীয়তপুরে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর

Looks like you've blocked notifications!
রোগীর মৃত্যুর খবর শোনার পর হাসপাতালের সামনে স্বজন ও এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি : এনটিভি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসারে মা-শিশু ও ডায়াবেটিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহিনুর বেগম নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পণ্ডিতসার গ্রামের ইতালি প্রবাসী উজ্জ্বল মির মালতের স্ত্রী।

স্থানীয় ও স্বজন সূত্রে যায়, প্রসব বেদনা নিয়ে শুক্রবার দুপর ১২টার দিকে মহিনুর বেগমকে (২৮) ডেলিভারি করাতে মা-শিশু ও ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে মাহিনুর বেগমের সিজার করানো হয়। সিজারের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

পরে রোগীর সাথে থাকা স্বজন পারভিন আক্তারকে রক্ত বন্ধ হচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসক। তিনি রক্ত না থামিয়ে রোগীর বিভিন্ন সমস্যা আছে বলে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। ওটি থেকে বের করে রোগীকে স্বজনদের হাতে তুলে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসময় রোগী মারা যায়। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্বজন পারভিন আক্তার বলেন, সকালে আমরা মাহিনুরকে পেটে ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বেলা ১২টায় মাহিনুরকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তারা রক্ত লাগবে বলেন। আমরা ডোনার রেডি করি। তার কিছুক্ষণ পর তারা বলে, রোগীর খিঁচুনি আছে শরীয়তপুরে নিতে হবে। আমরা তখন জানতে চাই সন্তান হয়েছে, এখন পর্যন্ত কেন বের করছেন না? জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাদের কাছে মৃত রোগী বুঝিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে কথা বলতে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক সামছুল আরিফিন মনজুর বলেন, দুপুরে একজন প্রসূতি নারীর অপারেশন হয়েছে। অপারেশনের সময় ওই নারী স্ট্রোক করেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছে। পরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই রোগী মারা যায়।

এ ঘটনা শোনার পর উৎসুক জনতা হাসপাতালটি ভাঙচুর চালিয়েছে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবীর হোসেন বলেন, ঘড়িসারে মা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতালের ডা. মনোয়ার হোসেন সিজার করেছে। পরে রোগীর অবস্থার অনবতি হলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। যাওয়ার পথে রোগী মারা যায়। পরে উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে। ঘটনাস্থলে আমি গিয়ে নিহত স্বজনদের সাথে কথা বলেছি। যদি স্বজনরা অভিযোগ করে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।