শাবিপ্রবিতে ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রের মরদেহ দাফন সম্পন্ন

Looks like you've blocked notifications!
শাবিপ্রবিতে ছুরিকাঘাতে নিহত বুলবুলের নরসিংদী শহরের বাড়িতে জানাজা। ছবি : এনটিভি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছুরিকাঘাতে নিহত বুলবুল আহমেদের লাশ দাফন করা হয়েছে আজ মঙ্গলবার রাতে।

আজ সন্ধ্যা ৬টায় নিহত শাবিপ্রবি ছাত্র বুলবুলের মরদেহ নরসিংদী শহরের ভেলানগর বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এ সময় যেন শোকের ছায়া নেমে আসে নরসংদী জেলা শহরে। শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স দেখতে। শহরে বুলবুলের বাড়িতেও শত শত মানুষের ভিড় জমে। সবার চোখেই অশ্রু। শহরে জানাজা শেষে রাত সাড়ে ৮টায় গ্রামের বাড়ি মাধবদীর নোয়াকান্দা গ্রামে মরদেহ দাফন করা হয়।

নরসিংদী শহর ও গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র বুকের ধন ছেলেকে হারিয়ে বুলবুলের মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বুলবুলের পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন প্রতিবেশীরা।

বুলবুল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার মা, স্বজন, এলাকাবাসী ও বন্ধুরা।

নিহত বুলবুল আহমেদ নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকার মৃত উহাব মিয়ার ছেলে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ২০১৮ সালে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে শাবিপ্রবির লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২১৮  নম্বর কক্ষে থাকতেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বুলবুল নিহতের খবর বাড়িতে এলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের কান্না ও আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের  সৃষ্টি হয়। আদরের ছেলেকে হারিয়ে মা ইয়াসমিন বেগম  বিলাপ করে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কোনোভাবেই তাকে সান্ত্বনা দিতে পারছিল না পরিবারের সদস্যরা। পরে রাতেই বুলবুলের বড় ভাই জাকারিয়া এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেন। তবে আজ সন্ধ্যা আগে আগে নিহত বুলবুলের মরদেহ নরসিংদীর বাড়িতে আসে।

উল্লেখ্য. গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে গাজী কালু টিলা লাগোয়া ‘নিউজিল্যান্ড’ এলাকায় ছুরিকাঘাত করা হয় বুলবুলকে। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।