শাহবাগে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিতে সমাবেশ
বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার ৩৫ বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। আজ শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশটি শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।
সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা ছিল ২৭ বছর। ১৯৯১ সালে যখন ৫০ ছাড়ালো তখন প্রবেশের বয়স ৩০ করা হয়েছিল। এখন আমাদের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছর, তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত হওয়া উচিত?’
সংগঠনটির আরেক মুখপাত্র এএসবি সোনিয়া চৌধুরী বলেন, ‘গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে চাকরিতে অবসরের সীমা ২০১১ সালে ৫৭-৫৯ করা হলো কিন্তু, প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলো না কেন? এটা সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে অবিচার নয় কি?’
সদস্য সচিব ইউসুফ জামিল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, জুডিশিয়ারি ও ডাক্তাররা ৩২ বছর পর্যন্ত চাকরিতে আবেদন করতে পারে। নার্সদের ৩৬ বছর এবং বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ ও পার্বত্য তিন জেলায় ৪০ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারে। তাহলে আমরা কি অপরাধ করলাম? আমরাই কেন শুধু বৈষ্যম্যের শিকার?’
প্রধান সমন্বয়ক মো. আল কাওছার বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত। সেক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি না করে বয়সের প্যাকেজ, বয়সের ছাড় নামক হ্যাস্যকর অফার গুলোতে চাকরি প্রার্থীরা কতটুকু উপকৃত হয়েছে?’
সংগঠনের আরেক প্রধান সমন্বয়ক এমএ আলী বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং অনার্সের পরিধি বাড়ানোর কারণে নন-পিএসসির ক্ষেত্রে আবেদনের যোগ্যতা অর্জনের বয়স ১৮ বছর এবং বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণির জবের ক্ষেত্রে ২১ বছর, এই আইন দুটি অনেক আগেই যোগ্যতা হারিয়েছে। যদি এটি বাতিল করা হয়, চাকরিতে প্রবেশের বয়স এমনিতেই বেড়ে যায়।’
এছাড়া সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন এবং চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।