শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়িয়ে প্রতারণা, আটক ১৩
লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়িয়ে করা হয়েছে প্রতারণা। এর দায়ে প্রতারকচক্রের তিন সদস্যসহ মোট ১৩ জনকে করা হয়েছে আটক। এঁদের মধ্যে সাত জন নারী রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর আগেই রামগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁরা উত্তরসহ প্রশ্ন দেবেন বলে প্রতারণা করেন। আটক করার সময় তাঁদের কাছ থেকে উত্তরপত্রসহ ভুয়া প্রশ্নপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের খালি চেকের পাতাসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসপি জানান, লক্ষ্মীপুরের ২৩টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষার আগে একটি চক্র পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র দেওয়ার নামে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে আট থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। রামগঞ্জ উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আমিরেন্নেছা ভবন থেকে এ কাজ পরিচালনা করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই ভবনে অভিযান চালায়। গতকাল সকালে অভিযানে পরীক্ষা শুরুর আগেই মাহমুদুল হোসাইন ও তাঁর স্ত্রী শারমীন আক্তার, সুমি আক্তার, মোরশেদা জান্নাত রেবু, সুরাইয়া আক্তার, তানিয়া বাসার, তাসনিম আক্তার ও শারমিন আক্তারকে আটক করা হয়।
এ সময় আটক করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে উত্তরপত্রসহ ভুয়া প্রশ্নপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের খালি চেকের পাতা, শিক্ষা সনদের মূলকপিসহ পরীক্ষার ১২টি প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়।
পরে আটক করা ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঞ্জুর হোসেন, রহমত উল্লাহ, পারভেজ হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন সবুজ নামে আরও পাঁচ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রতারকচক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। আটক করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান ও ডিআইওয়ান আজিজুর রহমান মিয়া প্রমুখ।