শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল ডিআরইউ

Looks like you've blocked notifications!
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল। ফাইল ছবি

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে সংগঠনটির নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সাংবাদিকদের এ সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।

সাংবাদিকদের বিষোদগার করা ও রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকের একটি খণ্ডিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের ওপর বিষোদগার করেছেন। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কোনো প্রোগ্রামে আসতে পারবেন না, তাঁকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁকে অতিথি করা হলে, ডিআরইউ তাদেরকে হল ভাড়া দিবে না।’

ডিআরইউর সভাপতি মোরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে সমাবেশটির সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্য মীর মোহাম্মদ জসিম।

পরে এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইস্যুতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আপত্তিকর বক্তব্য রাখায় তাঁকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রাখার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল। ওই ভিডিওর শিরোনামে লেখা ছিল, ‘ফাইল চুরির দায় স্বীকার প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনার’।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে ‘নির্যাতন’ করার পর শিক্ষা উপমন্ত্রীর এমন খণ্ডিত ভিডিও প্রচারের সমালোচনা করেছেন অনেকেই।

এর আগে আওয়ামী লীগের নেতা মহিবুল হাসানের বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক সাংবাদিক নেতা। তাঁরা বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে নেতা বনে গিয়ে কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না। মাঠের রাজনীতি করলে পরিস্থিতি বুঝতে পারতেন। সাংবাদিক নেতারা বলেন, শুধু রোজিনার মুক্তি নয়, মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি তাঁকে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। আন্দোলন বেগবান করতে সাংবাদিকদের সব সংগঠন নিয়ে একটি মোর্চা গঠন করে সমন্বিত কর্মসূচির তাগিদ দেন অনেকে।