শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধার অনুমোদন চায় বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদর দপ্তরে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ১২তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের বৈঠকে গতকাল (রোববার) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তাই মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর হঠাৎ করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ ঠিক হবে না। রপ্তানি বন্ধ করতে হলে আমদানিকারক দেশকে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা সময়ের আগে তা জানাতে হবে। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধার অনুমোদন চায় বাংলাদেশ

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদর দপ্তরে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ১২তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের প্রথম দিনের বৈঠকে গতকাল রোববার সম্মেলনের শুরুতে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডব্লিউটিওর ১৬৪ দেশের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হঠাৎ করে খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ করার কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার পর বাংলাদেশসহ অন্যান্য এলডিসিভুক্ত দেশ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে, সেটা আরও কয়েকবছর অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের বের হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ আর শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা পাবে না। তাই এলডিসির পক্ষ থেকে ডব্লিউটিওতে দেওয়া শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুযোগ চায় বাংলাদেশ। আমরা মনে করি, উন্নয়নশীল দেশের মৎস্যখাতের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই খাতে ভর্তুকি দেওয়াটা জরুরি। অনেক উন্নয়নশীল দেশের বিপুল সংখ্যক গরিব মানুষ তাদের জীবিকার জন্য মৎস্য খাতে জড়িত। তাই স্বল্পোন্নত দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা টিকিয়ে রাখার জন্য মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুযোগ রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি হ্রাসে এলডিসিভুক্ত দেশকে সরকারি পর্যায়ে বড় আকারে খাদ্য মুজদ করার মতো সুযোগ রাখা প্রয়োজন। কৃষিসহ ডব্লিউটিওর অন্যান্য যেকোনো সংস্কার বাংলাদেশ সমর্থন করবে। সংস্কার অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ হতে হবে, যেখানে সবার মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি সদস্যের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এমসি-১২ সম্মেলনের প্রথম দিনে ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো আইওয়ালা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলডিসি উত্তরণের পরবর্তীতে চলমান বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি হঠাৎ করে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ না করাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সদস্যদেশগুলোকে ঐকমত্যে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।