শেখ হাসিনার কারণেই সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে সব সময় ভাবতেন আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁকে সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই আবুল মাল আবদুল মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন।

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। আজ শনিবার (২০ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত, কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এগুলো নিয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনেক চিন্তা করেছেন, কাজ করেছেন। তিনি আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত সময়ে এসব বিষয়ে তিনি একাধিক বই লিখেছিলেন। এসব বইতে মুহিত সাহেব দেশের উন্নয়নের জন্য কী কী করনীয় তা লিখেছেন এবং সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ সম্পর্কে তাঁর বিভিন্ন বইতে তিনি তুলে ধরেছিলেন।”

আবুল মাল আবদুল মুহিতের মেধা দেশের জন্য কাজে লাগানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করেন এবং মনোনয়ন দেন। আবুল মাল আব্দুল মুহিত সেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। তবে ২০০১ হতে ২০০৮ এই সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যার সাথে কাজ করার সুযোগ পান। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। তাঁদের সেই পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরে আমরা দেখেছি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর দেশের উন্নয়নে তাঁর পূর্বের পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি দেখিয়ে যেতে পেরেছেন এবং সেটা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন বলে।” এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “মুহিত ভাইকে নিয়ে যখন আমরা মূল্যায়ন করি তখন একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দরকার, ধন্যবাদ জানানো উচিত; কারণ তিনি তাঁকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলেই দেশ উপকৃত হয়েছে।”

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গ্রন্থটিতে প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে নিয়ে বিশিষ্টজনদের লেখা ৫৬টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে।

স্মরণসভায় আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান এবং কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিচিত্রার সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহমদ আল কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও সংগঠক এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল।