শেখ হাসিনার প্রতিটি কর্মের মধ্যে মানবিক গুণাবলী প্রকাশ পায় : মেয়র তাপস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমনি উন্নয়নের রূপকার তেমনি তিনি এই বাংলাদেশকে মায়ের আদরে, ভালোবাসায় আলিঙ্গন করে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় ধানমন্ডি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদসমূহের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি কর্মের মধ্যেই একটি মানবিক গুণাবলী, মহতী উদ্যোগ প্রকাশ পায়। করোনা মহামারীর পরে যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে রয়েছে। এজন্য তিনি রমজানের শুরুতেই বলেছেন- ঘটা করে ইফতার আয়োজনের নামে যে অর্থের অপচয় হয়, তা না করে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে ইফতার, সেহেরির সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। এটিই রমজানের শিক্ষা, সিয়াম-সাধনার শিক্ষা। এটিই ইসলামের পক্ষে তাঁর চিন্তা-চেতনা। আজকের এই মহতী অনুষ্ঠান তারই একটি প্রতিফলন। এটি আলেম ওলামাদের দিয়ে শুরু হচ্ছে, আগামীতে অন্যরাও পাবেন।’
সরকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাধীনতার স্বাদ পৌঁছে দিচ্ছে মন্তব্য করে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এরই মধ্যে এক কোটি মানুষের কাছে টিসিবির কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরে আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আনুপাতিক ভোটার হিসেব করে এই টিসিবি কার্ড বিতরণ করেছি। এ পর্যন্ত আমরা তিন লক্ষাধিক কার্ড বিতরণ করেছি। এরপরেও কেউ যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে জানাবেন। ঢাকা শহরে যাদের প্রয়োজন রয়েছে, আমরা সকলের কাছেই এই কার্ড বিতরণ করব।’
এ সময় ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান শ্রেণিকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এস হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবুল সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২১টি মসজিদের মোট ৮০ জন খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপহার হিসেবে প্রত্যেককে ২৫ কেজি মিনিকেট চাল, ৩ কেজি পোলাও চাল, ৩ কেজি চিনি, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি ছোলা, আধা কেজি গুঁড়ো দুধ সহ মোট ২২ ধরনের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।