শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ২০

Looks like you've blocked notifications!

বরগুনায় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শোক দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

গত ২৪ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলে নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আজ সকাল ১১টার দিকে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানসহ জেলা পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন নেতারা। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবীর রেজা, সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান এবং জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সবুজ মোল্লা ও তাদের কর্মী ও সমর্থকরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এক মাস ধরে চলা ছাত্রলীগের বিরোধের বিষয়ে আমরা আজও সচেতন ছিলাম। আপনারা দেখেছেন আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তাই আজ জোরদার ছিল। এর মধ্যেও ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে ইট নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আমি ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। তাদের সংযত হতে বলেছি। এর পরও আজকের এ ঘটনা ঘটায় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, এখানে আমরা তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বের হতে সহায়তা করেছি। গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনামতো আমরা ব্যবস্থা নেব। তাদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি। এর মধ্যেও যদি কিছু ঘটে থাকে তাহলে তা তাদের হুড়াহুড়ির কারণে ঘটেছে।

এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও দাবি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।