সদরঘাট থেকে হেঁটে বা ভ্যানে করে গন্তব্যে
নভেল করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে পবিত্র ঈদুল আজহা শেষে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীতে দেখা গেছে কোনো ধরনের গণপরিবহণ চলছে না। ঢাকার বাইরে থেকে আসা অনেকে যানবাহন না পেয়ে হেঁটে, ভ্যান ও রিকশায় করে গন্তব্যে যাচ্ছে। এবারের বিধিনিষেধ আগের যেকোনো বারের চেয়ে কঠোর হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যেরাও মাঠে থাকবেন বলে জানানো হয়।
এদিকে, সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। কারণ দেখাতে না পারলে মামলা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহণকে। কোনো ধরনের শিথিলতা দেখানো হচ্ছে না।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কড়া পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে প্রত্যেকটি গাড়ি চেক করছেন পুলিশ সদস্যেরা। কেউ যদি অকারণে বের হয়, তাহলে দেওয়া হচ্ছে মামলা। সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট মতিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সকাল থেকে যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে না পারায় চার জনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি গাড়ি আটকানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশের আত্মীয়ের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর আত্মীয়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি বোনের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে ফিরছিলেন। এখন বিধি অনুযায়ী জরিমানা করে গাড়ি ছাড়া হবে। কোনো ধরনের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
সার্জেন্ট মতিউর রহমান আরও বলেন, একটি মোটরসাইকেলে দুজন থাকায় আটকানো হয়। পরে তাঁরা নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে, জরুরি বিষয় ছাড়া কেউ বের হলেই মামলা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, বাংলামোটর ও কারওয়ানবাজারের সামনে দেখা গেছে ঢাকার বাহিরের থেকে আসা অনেক মানুষ গণপরিবহণের আশায় দাঁড়িয়ে আছে। কেউ কেউ শিশু সন্তান কোলে নিয়ে হেঁটে-হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওয়ানা দিয়েছেন।
আয়ুবর আলী নামের একজন জানান, ভোররাতে বরিশাল থেকে ঢাকায় লঞ্চ এসেছে। কিন্তু, এরপর সদরঘাট থেকে বের হয়ে দেখেন কোনো পরিবহণ নেই। তিনি বলেন, ‘রিকশা ভাড়া পাঁচগুণ চাচ্ছে। পরে শিশুসন্তান নিয়েই রওনা দিয়েছি। এখন গন্ত্যব্য মিরপুর, কখন পৌঁছাব আল্লাহ ভালো জানেন।’