সন্ধ্যায় ইমাম নিয়ে বিতর্ক, সকালে মসজিদ কমিটির সম্পাদকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
গজারিয়া থানা। ছবি : সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মসজিদের ইমাম নিয়ে বিতর্কের পরদিন আজ রোববার সকালে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত বাহাদুল্লাহ মোল্লার (৫০) স্বজনেরা এ এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড অভিহিত করে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

চর কুমারিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুল্লাহ মোল্লার স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাহাদুল্লাহ পেশায় মুদি দোকানি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছয় সন্তানের বাবা। গত প্রায় ১৫দিন ধরে চর কুমারিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বর্তমান ইমামকে রাখা না রাখা নিয়ে মুসলিরা দ্বিধাবিভক্ত। কিছু মুসল্লি বর্তমান ইমামকে বিদায় করে দেওয়ার পক্ষে আর কিছু মুসল্লি তাকে রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমামকে রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। এদিকে সর্বশেষ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাহাদুল্লাহ মোল্লাকে মুঠোফোনে কেউ একজন বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। তারপরে তিনি আর বাসায় ফেরেননি, দীর্ঘ সময় তাঁর খোঁজখবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে আজ রোববার সকালে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার আম বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ দেখতে পায় লোকজন। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর আত্মহত্যা করার কোনো কারণ নেই। আমাদের অনেক সুখের সংসার ছিল। তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’

নিহতের মা খবিরন নেছা তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে দাবি করে বলেন, ‘যাদের সঙ্গে বাহাদুল্লাহর ঝামেলা হয়েছে আর যারা মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই কে হত্যাকারী তা জানা যাবে।’

গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকান্দার আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করি। বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর আগে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’