সরকারকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে : ড. মোশাররফ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার অবৈধ। তারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
রাজধানীতে একটি রেস্টুরেন্টে শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং স্বাধীনতা ফোরামের সাবেক সেক্রেটারি মরহুম প্রকৌশলী এম আজিজুল ইসলামের স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাকে বানোয়াট মামলা দিয়ে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতে হেঁটে গিয়েছিলেন। কারাগারে থাকাবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ তিনি গৃহবন্দি। চিকিৎকরা তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে বললেও অমানবিক ও ফ্যাসিস্ট সরকার অনুমতি দেয়নি। আমি দোয়া করি আল্লাহ তাঁকে সুস্থ করে দিয়ে আমাদের সাথে আবারও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছিল। আজকে দিনের ভোট রাতে করে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তারা দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। মানুষ ন্যায়বিচার পায় না। তারা বিরোধীকণ্ঠকে স্তব্ধ করে একনায়কতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করছে।
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, এই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কারণ এর পেছনে রয়েছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। আজকে আওয়ামী লীগের ছেলেরা মারামারি করলো আর মামলা খেলো বিএনপি নেতারা। এই সরকারের হাত থেকে দেশ রক্ষার জন্য আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। যেই আন্দোলনে এই সরকার বিদায় নিবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং দেশনায়ক তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।
ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, তা আজ ভুলুণ্ঠিত। আজকেও শোষণ নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকে মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। কথা বলতে পারে না। দেশ চলছে একজনের কথায়। তাই তো মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। অনেককে গুম ও খুন করা হয়েছে। বিনা বিচারে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারেরও নির্মম পরিণতি হয়।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজকে জাতীয় সরকারের ধুয়া তুলে জনদৃষ্টি ভিন্নদিকে নেওয়া হচ্ছে। আমরা বলবো বিএনপিতে কোনো বিভেদ নেই। বাংলাদেশের সুস্থতার জন্য এখন দাওয়াই প্রয়োজন। সরকার গেছে তেঁতুলতলায়। কিন্তু বিএনপি যাবে না বেলতলায়। আওয়ামী লীগ সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটবাক্স দখল করেছে। তারা দেশের সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এসব বাঁচাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে মাঠে নামতে হবে।