সরকারের ডাকাতির ফসল লোডশেডিং : খন্দকার মোশাররফ

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি : এনটিভি

বর্তমান লোডশেডিংকে সরকারের ডাকাতির ফসল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। 

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একুশের পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর নবম মৃতু্বার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বৈরশাসনে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে বিদ্যুতের অবস্থা, লোডশেডিং পরিস্থিতির কী অবস্থা, আপনারা তা জানেন। বিদ্যুৎ খাতে ডাকাতির জন্য, চুরি করার জন্য এদেশের কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের স্থায়ী ব্যবস্থা তারা করেছে। বিদ্যুতের বিষয়ে কেউ যাতে কিছু বলতে না পারে, আইনের আশ্রয় না নিতে পারে সেজন্য তারা পার্লামেন্টে ইনডেমনেটি আইন পাস করে বিদ্যুতে সেক্টরে ডাকাতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। সেই ডাকাতির ফসল হচ্ছে আজকে বাংলাদেশের এই লোডশেডিং।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে গ্রামগঞ্জের ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না, শহরে চার থেকে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, লোডশেডিংকে তিনি মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাহলে কেনো বিদ্যুতের এই লোডশেডিং–জনগণের এই প্রশ্নের জবাব সরকারকেই দিতে হবে।’

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র হত্যার করার জন্য দায়ী, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির জন্য দায়ী, দেশ থেকে টাকা পাচারের জন্য দায়ী, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী, ডলার পাচারের জন্য দায়ী, তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে এই সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়।’

ড. খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘আজকে এটা বিএনপি কিংবা বিরোধী দল বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের কথা নয়। এটা সারা দেশের মানুষের দাবি যে, এই সরকারকে হটানো ছাড়া, এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো ছাড়া বাংলাদেশে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়া বর্তমান সংকট উত্তরণ সম্ভব হবে না।’

 প্রত্যেকটি জনসমাবেশে সাধারণ মানুষ নেমে আসছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে কীভাবে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটাকে কী গণতান্ত্রিক দেশ বলতে পারেন? আমি খুলনার বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। দুদিন আগে বাস-লঞ্চসহ সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি, দুদিন আগে নদীর ওপার থেকে নৌকায় করে মানুষ এপারে আসবে, সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সব বাঁধা পেরিয়ে খুলনায় জনগণের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। এরা সবাই আমাদের নেতাকর্মী ছিল না, সাধারণ মানুষও ছিল।’

গিয়াস কামাল চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরে গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে গণমাধ্যমে সহযোগিতা চান খন্দকার মোশাররফ।

বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, নুরুল আমিন রোকন, মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মুরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।