সরকারের পতন না হলে বিএনপি থামবে না : আব্দুস সালাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের পতন না হলে বিএনপি থামবে না। বর্তমানে সারা দেশের জনগণ একদিকে আর আওয়ামী লীগ একদিকে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় কে থাকবে এটা কি বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে নাকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ঠিক করবে?’
আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক মঞ্চের আয়োজনে, গ্যাস বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে সালাম এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘দেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভোটের আগে দেশে এসে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আরেক দেশের গোলামী করার জন্য না। দেশের মানুষ আজ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের কথা আমরা একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এই সরকারের বাইরে কেউ কথা বলতে পারবে না এটাই নাকি গণতন্ত্র। ভারতের সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি করেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। বর্তমানে সব জায়গায় মুখ বন্ধ এটাই হলো আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিদেশিদের ধোকা দেওয়া যাবে না। আর বাংলাদেশিদেরতো দেওয়াই যাবে না। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়নি। খারাপ হয়েছে তখনই যখন এদেশের অর্থ সব লুটপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছে। গণতন্ত্রের কথা বলে মায়া কান্না করে এই দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষ আরামে নেই। আরামে আছে আওয়ামী লীগ। যারা দেশের টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে দেশে রাতের ভোটের সরকার ক্ষমতায় আছে। তাই সরকারের কাছে কোনো দাবি করে লাভ হবে বলে আমি মনে করি না।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আগামীতে বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কোনো তাবেদারির সরকার মেনে নেবে না। পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণকে কষ্ট দিয়ে এই সরকার এখন হাসে। আমরা একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সাধারণ জনগণের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই।’
দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, মামুন হাসান, কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ এর চেয়ারম্যান মো. মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রহমান আমিনি প্রমুখ।