সরকার উন্নয়ন করলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় কেন : ড. মঈন খান

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান আজ শনিবার বিকেলে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে ১০ দফা দাবি আদায়ে দলটির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘এই সরকার যদি দাবি করে তারা উন্নয়নের জোয়ারে দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে, তাহলে কেন তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়? ভালো কাজ করলে কোনো কারণ নেই যে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোট দেবে না। এই সরকার যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ও দেশকে ভালোবাসে তাহলে বিএনপির ওপর অত্যাচার বন্ধ করুক। তারা ক্ষমতা ছেড়ে এসে জনতার কাতারে দাঁড়াক। আমরা জনগণের কাতারে ইতোমধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা ভোট চাইব, যাদের জনগণ ভোট দেবে তারা দেশ পরিচালনা করবে।’

বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গ্যাস-বিদ্যুৎ, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন। সমাবেশের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়।

ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সেই কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। এই সরকার যদি পদত্যাগের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে, তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে পারে না। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার আওয়ামী লীগ হোক আর বিএনপি হোক যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে।’

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন—দলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নান্নু।

আরও উপস্থিত ছিলেন—দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, এবায়দুল হক চান, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবাহান ও নাজিম উদ্দিন আলম, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুল।

সমাবেশে নেতাকর্মীরা বিভাগের জেলা উপজেলা থেকে যোগ দেন। এসময় সামনে অবস্থান নিয়ে মাঠের মধ্যে ও সামনের সড়কে পৃথক হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।