সরকার কবি সাহিত্যিকদের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক : প্রতিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ছবি : সংগৃহীত

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকদের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক এবং তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষায় সচেষ্ট। এরই অংশ হিসেবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক মনীষীদের নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যেখানে রাধারমণ দত্ত, শাহ আবদুল করিম ও দুরবীণ শাহসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মনীষী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। প্রকল্পটির  ডিপিপি প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে। স্থাপত্য নকশা চূড়ান্ত পর্যায়ে। আশা করা যায়, এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো যাবে। সেটি হলে শীঘ্রই ‍‍‍‍‍রাধারমণ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির নজরুল চত্বরে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র আয়োজিত তিন দিনব্যাপী রাধারমণ লোকসংগীত উৎসবের যুগপূর্তি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ।

কে এম খালিদ বলেন, ‘কথায় আছে—যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেদেশে গুণী জন্মায় না। গুণীজনদের সম্মান দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। নতুন প্রজন্ম তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পায়।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সাংস্কৃতিক মনীষী ও গুণীজনদের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ ও তাঁদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মনীষীদের নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে।’

উৎসব উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের প্রবীণ কীর্তনীয়া যশোদা রাণী সূত্রধর। রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ব আইটিআইয়ের সাবেক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। আলোচনা করেন লোক গবেষক ও দৈনিক প্রথম আলোর সিলেট ব্যুরো চিফ সুমন কুমার দাশ। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়। স্বাগত বক্তব্য দেন রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সদস্য রজত বরণ দত্ত। উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী রূপা চক্রবর্তী।