স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার প্রয়াসে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অনেক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। সে লক্ষ্যে সেবা প্রত্যাশী মানুষ যেন ভোগান্তি ছাড়া সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। 

মঙ্গলবার (১৬ মে) স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) তিনদিনব্যাপী বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের জন্য ‘সিটি করপোরেশন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত’ প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আশা করেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ফলে তাদের দক্ষতা ও কর্মস্পৃহা বাড়বে এবং মানুষ সহজে সিটি করপোরেশন থেকে নানা ধরনের সেবা নিতে পারবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবার মন-মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সেজন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।’

মন্ত্রী সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আপনারা জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা। আপনাদের কাছ থেকে সহজে সেবা পেলে সরকারের সুনাম হয়।’

সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর তৎপরতা নিতে কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যখন দেখবে আদায় হওয়া রাজস্ব তাদের নিজেদের জীবনমান উন্নত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে তখন রাজস্ব দিতে অনাগ্রহ দূর হবে। বেশিরভাগ মানুষ তখন স্বপ্রণোদিত হয়ে রাজস্ব জমা দেবে।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের আইন বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করে যারা বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করতে চেয়েছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন তাদের কাছে পছন্দ নয়।’

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক গোষ্ঠী এখনও বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে যে জাতির জন্ম হয়েছে তাদের পেছনে ফেলে রাখার সুযোগ নেই।’ এ সময় মন্ত্রী সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন এনআইএলজির মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর।