সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে সাড়ে ৪ ডিগ্রি

Looks like you've blocked notifications!

শৈত্যপ্রবাহ কাটিয়ে দেখা মিলছে সূর্যের। কিন্তু তীব্র শীতের এ সকালে মিষ্টি রোদ আলো ছড়ালেও উষ্ণতা এনে দিতে পারেনি জনজীবনে। উল্টো কমেই চলেছে তাপমাত্রার পারদ।

আজ রোববার সকালে উত্তরাঞ্চলে দেশের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল ৬টায় ৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় তা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।

হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় জেলার সর্বউত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়ায় অনুভূত হচ্ছে হাড়কাঁপানো শীত। কয়েক দিন ধরে ভালোভাবে দেখা মিলছে না সূর্যের। আবার সূর্য উঠলেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

রাজধানীর মতো তেঁতুলিয়ায় আজ রোববার সকালটি শুরু হয়েছিল বেশ ঝলমলে রোদের আলোতেই। সকাল ৭টায় সূর্যের দেখা মেলে। দীর্ঘদিন পর ঝলমলে রোদে ক্ষণিকের স্বস্তি ফিরে আসে জনমনে। রোদের আলোতে বসে উষ্ণতা নিতে ঘরবাড়ি, দোকানপাট থেকে বেরিয়ে আসেন শীতার্ত মানুষ। কিন্তু বেলা বাড়তেই আবারও জেঁকে বসছে শীত।

পঞ্চগড়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরো কমে আসছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীতের তীব্রতা। জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরো কমে আসতে পারে বলে আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বভাস রয়েছে।

এদিকে, হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, যাদের বেশিরভাগ রোগী শিশু ও বৃদ্ধ। প্রতিদিন শতাধিক রোগী হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি বছরে তা অতিক্রম করবে কি না, তা সময়ের ওপরই নির্ভর করছে।

এদিকে সারা দেশে কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬  দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃদ্ধ ও শিশুরা প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে শিশুজনিত নানা রোগে।

মৌলভীবাজারে  ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে এই জেলার মানুষ। প্রতিদিনই কমছে এ জেলার তাপমাত্রা। শীতের কারণে নষ্ট হচ্ছে সবজি ক্ষেত। দিনে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন ছিন্নমূল মানুষ।

একই অবস্থা কুড়িগ্রাম জেলায়ও। মানুষের পাশাপাশি শীতে কাবু হয়ে পড়েছে গবাদি পশুও।  দিনের বেলা সামান্য সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও বিকেল হতেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় সূর্য।